আন্দোলনে বাম শ্রমিক সংগঠন , বর্ধমানে একাধিক দাবীতে সোচ্চার

6th August 2020 12:52 pm বর্ধমান
আন্দোলনে বাম শ্রমিক সংগঠন , বর্ধমানে একাধিক দাবীতে সোচ্চার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  বর্ধমান জেলা মোটর ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন (CITU) এর পক্ষ থেকে "করোনা" পরিস্থিতিতে লক ডাউনের ফলে সমস্যায় থাকা সরকারী, বেসরকারী পরিবহণ শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলিশা বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয় । পরিবহণ শ্রমিক, টোটো শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য মাস্ক দেওয়া হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক  তুষার মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন CITU পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য  নজরুল ইসলাম,  তরুণ রায় সহ অনান‍্যরা । 
 দাবি সমূহ :-
১) পেট্রোল ডিজেল এ-র মুল্য বৃদ্ধি রোধ করতে হবে।
২) শ্রমিক বিরোধী পরিবহন আইন লাগু করা চলবে না।
৩) যাত্রীভাড়া অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ গণপরিবহন মালিকদের সরকারকে দিতে হবে। এর জন্য সরকার প্রয়োজনে বিধি এবং নিয়মাবলী তৈরি করবে। 
৪) গণপরিবহন কর্মীদের মাসে ১৮ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। যতদিন লকডাউন সংক্রান্ত সর্তকতা বজায় থাকবে ততদিন সরকারকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে 
 ৫) রাজ্য সরকারের হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের মেমো নং HF/O/COVID-19/2020/ 3085 Dt. 01.04.2020 মারফৎ সরকারী পরিবহনের ড্রাইভার, কন্ডাকটর সহ সকল শ্রমিকদের করোনা হলে ১ লক্ষ টাকার বীমা এবং মারা গেলে ১০লক্ষ টাকার বীমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশ অনুযায়ী পরিবহন দপ্তরের অধিনস্ত সকল সরকারী পরিবহন এবং বেসরকারী বাস, মিনিবাস, অটো, টোটো ও মাল পরিবহনের সাথে যুক্ত পরিবহন শ্রমিকদের জন্য করোনা হলে ১ লক্ষ টাকা ও মারা গেলে ১০ লক্ষ  টাকা বীমা করার  নির্দেশ দেবার দাবী ।
৬) পরিবহন কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা কিটস সরবরাহ করা হচ্ছে না। এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য তাদের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের বিষয়টিও সরকারের পক্ষ থেকে অবহেলিত। অবিলম্বে তা দিতে হবে।এই ধরনের কাজে যুক্ত প্রত্যেক সরকারি, বেসরকারি  পরিবহন কর্মীদের ১০ লক্ষ টাকার বীমার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) বাস কন্ডাক্টরের হাতে থার্মাল থার্মোমিটার দিতে হবে এবং সরকারি নির্দেশিকা জারি করতে হবে যাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি তাদের কন্ডাক্টর বাসে উঠতে দেবে না।
৮) লকডাউনের  মধ্যে পরিবহন শ্রমিকদের ভয়াবহ দুর্দশার কথা চিন্তা করে সমস্ত ধরনের বেসরকারি পরিবহন এর সঙ্গে যুক্ত  পরিবহন কর্মীদের লকডাউন কাল এপ্রিল,  মে, জুন  ৩ মাসের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা অর্থসাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হোক।
৯) পরিবহন শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি তাই করোনা সংক্রমণ হলে তাদের ও পরিবারের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার কে নিতে হবে। সংক্রমণ হলে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।